Friday, August 23, 2013

Rocomary Sangbad...Eid Issue August 2013




Sunday, May 26, 2013

Banglar Fatakasta Shime




evsjvi dvUv‡K‡ó wQwg

†QvU c`©vi m¤¢vebvgqx Awf‡bÎx wQwg| G‡Zv w`b Zv‡K mevB †QvU c`v©q †`L‡jI Gevi †`L‡e eo c`©vq| eo c`©vi bvwqKv wn‡m‡e AvÍcÖKvk Ki‡Z hv‡”Qb wQwg| ïi“ n‡”Q bZzb wWwRUvj c~Y©‰`N©¨ Pjw”PÎ evsjvi dvUv‡Kó| MvRxKvjy wm‡bwgwWqv cÖ‡hvwRZ QwewU cwiPvjbv Ki‡Qb mv¾v`yi ingvb ev`j| cÖ‡hvRbv Ki‡Qb †hŠ_fv‡e GbAvB cv‡jvqvb, nƒ`q Ges kvnxb| Qwei bvg f‚wgKvq Awfbq Ki‡Qb wPÎbvqK Bwjqvm KvÂb| GQvov Av‡iv Awfbq Ki‡Qb cÖexi wgÎ, bevMZ kvnvbvR wQwg, Gb AvB cv‡jvqvb, wWwRUvj kvnxb, Gm wW nƒ`q, Kvwejv, Avwgi wmivRxmn GKSvK bZzb ZviKv| wm‡bgvi Kvwnbx m¤ú‡K© cwiPvjK e‡jb, KjKvZvi dvUv‡Kó Qwei Av`‡j G Qwei Kvwnbx wbwg©Z n‡q‡Q| Z‡e Zv Aek¨B evsjv‡`‡ki Ave‡n| Kvwnbx‡Z †`Lv hv‡e, gv¯—vb dvUv‡Kó mgv‡Ri Mixe `ytLx‡`i eÜz| bvbv Kvwnbxi ga¨ w`‡q GKmgq †m GKzk w`‡bi Rb¨ ¯^ivó«gš¿x wbe©vwPZ nq| GB mg‡qi g‡a¨ †m †Póv K‡i mgv‡Ri mvaviY gvby‡li AwaKvi‡K cÖwZôv Ki‡Z Ges  RÄvjgy³ †`k Mo‡Z| Avkv KiwQ QwewU `k©K‡`i nƒ`q Rq Ki‡Z m¶g n‡e| 
MZ †iveeevi kvwš—bM‡ii GKwU †i÷z‡i‡›U QwewUi gniZ AbywôZ nq| gniZ Abyôv‡b Dcw¯’Z wQ‡jb Bwjqvm KvÂb, cÖexi wgÎ, Avwgi wmivRx, Qwei cwiPvjK, cÖ‡hvRKmn MY¨gvb¨ e¨vw³eM©| D‡j­L¨, wQwg AwfbxZ bvU‡Ki g‡a¨ wek¦ fv‡jvevmv w`e‡m cÖPvi n‡q‡Q bvUK Ônƒ`q Kve¨Õ hv w`Mš— wUwf‡Z cÖPvi nq| cÖPv‡ii A‡c¶v Av‡Q GKK bvUK ÔfvObÕ| ïwUs †kl ch©v‡q Av‡Q GbwUwfi Rb¨ wbwg©Z †Uwjwdj¥ ÔUvg© KvW©Õ| GQvov i‡q‡Q ÔNvU-ANvUÕ bvgK 104 c‡e©i GKwU avivevwnK bvUK| hv Lye wkMwMiB †h †Kvb GKwU P¨v‡b‡j cÖPvi ïi“ n‡e|

Wednesday, April 17, 2013

বাংলা সনের উদ্ভাবক পণ্ডিত শিরাজী

বাংলা সনের উদ্ভাবক পণ্ডিত শিরাজী




বাংলা সনের উদ্ভাবক পণ্ডিত শিরাজী

বাংলার প্রকৃতি, আবহাওয়া, ঋতুবৈচিত্র্য ও কৃষিকাজের সময়সূচি এখনো বাংলা মাস বা বঙ্গাব্দের সঙ্গে বেশি সঙ্গতিপূর্ণ। আমরা যখন রোদ-বৃষ্টি, ঠাণ্ডা-গরমের কথা বলি তখন ‘কালবৈশাখী’, ‘আষাড়ের বর্ষণ’  ‘শ্রাবণের ধারা’  ‘ভাদ্রের তালপাকা গরম’, ‘শরতের মেঘ’, ‘মাঘ মাসের শীত’ কিংবা ‘ফাল্গুনের হাওয়া’ প্রভৃতি শব্দগুলো ব্যবহার করি। এতেই বোঝা যায় বাংলা সন বা সাল আমাদের জীবনে, ঐতিহ্যে, অভিজ্ঞতার সঙ্গে কীভাবে মিশে আছে।
image_1
অন্তরঙ্গভাবে এই যে বাংলা সালের সঙ্গে মিশে যাওয়া, প্রত্যেক বছর ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বাংলা সনকে স্মরণ করা কে উদ্ভাবন করেছিলেন? আমরা যদি এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে যাই তাহলে আমাদের ফিরে যেতে হবে ইংরেজি ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে।

ওই বছর দিল্লির সিংহাসনে বসেন মুঘল সম্রাট আকবর। আরবি হিজরি সন অনুসারে চলতে থাকে রাজকার্য। অর্থাৎ রাজ্যের হিসাব-নিকাশ, কর্মচারীদের বেতন, খাজনা আদায় প্রভৃতি। একদিন রাজ্যের হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে কয়েক জন সম্রাট আকবরের কাছে গেলেন। বললেন, “মহারাজ আমাদের ধর্ম-কর্ম সম্পর্কিত অনুষ্ঠানে আরবি অর্থাৎ হিজরি সাল ব্যবহার করতে ইচ্ছে হয় না। তাই আপনি আমাদের একটি পৃথক সাল নির্দিষ্ট করে দিন।” এর কিছুদিন পরেই আবার অসন্তোষ দেখা দিলো সম্রাটের রাজস্ব বিভাগের কর্মচারীদের মধ্যে। সম্রাটের কাছে তারা তাদের আবেদনে জানান, জাঁহাপনা সৌর পদ্ধতিতে হিজরি সালের কিছু ত্রুটি এবং চান্দ্র সালের কারণে ফসলের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের সময়কাল নির্দিষ্ট রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এমন অবস্থায় আপনি হিজরি এবং চান্দ্র বর্ষের সমন্বয়ে একটি বিজ্ঞানভিত্তিক নতুন সালের প্রবর্তন করে দিন। যাতে নির্র্দিষ্ট দিন বা সময়ে আমরা জমির খাজনা পরিশোধ করতে পারি।

সম্রাট আকবর ছিলেন রাজ্যের সুশাসক এবং ধর্মমতের ব্যাপারে উদার। বিষয়টির গুরুত্ব তিনি উপলব্ধি করলেন। এটি নিয়ে আলাপ করলেন তার সভাসদ আবুল ফজলের সঙ্গে। আবুল ফজলের পরামর্শে সম্রাট কঠিন এই কাজটি সম্পাদনের দায়িত্ব দিলেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও জ্যোতির্বিদ সুপণ্ডিত আমির ফতুল্লাহ শিরাজীর ওপর। পণ্ডিত শিরাজী বিষয়টি নিয়ে অনেক গবেষণা করলেন। তারপর হিজরি সালকে অক্ষুন্নণ্ণ ও অপরিবর্তিত রেখে উদ্ভাবন করলেন বাংলা সনের। জমা দিলেন সম্রাটের কাছে। সম্রাট আকবর পণ্ডিত শিরাজীর উদ্ভাবিত বাংলা সনকে গ্রহণ করলেন। সালটা ছিল ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দ। তারিখ ১০/১১ মার্চ।
images2
এখানে উল্লেখ্য শিরাজীর প্রচেষ্টায় ৯৬৩ হিজরির মুহররম মাসের শুরু থেকে বাংলা বর্ষের অর্থাৎ ৯৬৩ অব্দের সূত্রপাত হয়। যেহেতু ৯৬৩ হিজরির মুহররম মাস বাংলা বৈশাখ মাসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল, সেহেতু তিনি চৈত্র মাসের পরিবর্তে বৈশাখ মাসকেই বাংলা বর্ষের প্রথম মাস হিসেবে বিবেচনা করেন। চৈত্র ছিল শক বা শকাব্দ বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস যা সে সময় বঙ্গে ব্যবহৃত হতো।

আরেকটি মজার ব্যাপার হলো সম্রাট আকবর যখন বাংলা সন প্রবর্তন করেন তখন গ্রেগোরিয়ান বা ইংরেজি সাল এবং হিজরি বর্ষের মধ্যে পার্থক্য ছিল ১৫৫৬Ñ৯৬৩ = ৫৯৩ বছর। এই ৫৯৩-এর সঙ্গে আমরা যদি নতুন বাংলা সন যোগ করি তাহলে বর্তমান ইংরেজি সাল পাবো। কীভাবে, এখন সেটা বলি। নতুন বাংলা সন ১৪২০-এর সঙ্গে ৫৯৩-এর যোগ করলে দাঁড়ায় ১৪২০+৫৯৩ = ২০১৩, অর্থাৎ ইংরেজি ২০১৩ সাল। বাংলা সন গণনার ক্ষেত্রে এত সহজ একটি সমীকরণ আবিষ্কার করার জন্য সালাম আমির ফতুল্লাহ শিরাজী। সালাম সম্রাট আকবর। স্বাগতম বাংলা ১৪২০।

পরিচালনায় আসছেন শাবনূর

অ-  অ+

দেশীয় চলচ্চিত্রের অসংখ্য ছবির হিট নায়িকা শাবনূর এবার পরিচালনায় আসছেন। কয়েক মাস আগে তিনি পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার জন্য চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিতে অনুমোদন পত্রের আবেদন করেন।
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি শহীদুল ইসলাম খোকন জনান, পরিচালক হিসেবে শাবনূরের নিবন্ধন আগের কমিটি অনুমোদন করেছে। আমি যতটুকু জানি তিনি ছবি নির্মাণ করার জন্য অনুমতিপত্র পেয়েছেন। এক  বছরের ভেতর ছবি নির্মাণ না করলে সেটা বাতিল হবে।
এ বিষয়ে শাবনূর বাংলামেইলকে বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই চেষ্টা করছি ছবি নির্মাণের। ইচ্ছে করলেই তো সব কিছু হয় না। ছবি নির্মাণের প্রাথমিক কাজগুলো প্রায় শেষ করেছি। সামনের বছর অর্থাৎ ২০১৪ সাল থেকে পরিচালক হিসেবে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করবো। যদি আমি পরিচালক হিসেবে সফল হই তবে নিয়মিত ছবি নির্মাণ করব। ছবিতে অভিনয় করে যে রকম দর্শকদের ভালোবাসা পেয়েছি তেমনি ছবি নির্মাণ করে সে রকম ভালোবাসা পেতে চাই। আশা করি আমি সফল হব।’

বর্ষাকে বিএমডব্লিউ দিলেন অনন্ত


  কিছু দিন আগেও পরস্পরের বিরুদ্ধে বিশ্বাস ভঙ্গের গুরুতর অভিযোগ তুললেও শেষ পর্যন্ত এখন এক সঙ্গেই থাকছেন চলচ্চিত্রে সময়ের আলোচিত জুটি বর্ষা-অনন্ত। দু’জনের মধ্যকার বিরোধ পুরোপুরি মিটে গেছে এবং তারা একেবারে স্বাভাবিক সম্পর্কে ফিরে গেছেন। তাই পহেলা বৈশাখে স্ত্রী বর্ষাকে অনন্ত উপহার দিয়েছেন দামি বিএমডব্লিউ গাড়ি।
এ বিষয়ে বর্ষা বাংলামেইলকে বলেন, ‘আমার আরও ব্যবহৃত গাড়ি থাকা সত্ত্বেও সে আমাকে একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি দিয়েছে। আমি চমকে গেছি গাড়ি পেয়ে। ভালো লাগছে ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে উপহার পেয়ে।’
তিনি আরও বলেন,  ‘অনন্তের সঙ্গে আমার সম্পর্কের ফাটল ধরেনি এবং এ বিষয়ে কাউকে বলিনি যে তার সঙ্গে সম্পর্ক আমার নেই। তবে আামাদের মাঝে যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল তা এখন নেই। আমরা এখন এক সাথেই আছি।’
বুধবার অনন্তের জন্মদিন। এখন দেখার বিষয় তার প্রিয় মানুষটির জন্মদিনে কী উপহার দেন বর্ষা।
উল্লেখ্য, গত ২৩ মার্চ অনন্ত-বর্ষার মধ্যে মনোমালিন্য হলে বিষয়টি থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। বর্ষা সবার অজান্তে ভারত চলে গেলে অনন্ত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের ডিভোর্সের কথা জানান। পরে এ বিষয়ে তিনি আর কোনও কথা বলেননি।
সাংবাদিকরা আশা করেছিলেন ভারত থেকে ফিরে বর্ষা এ বিষয়ে কিছু বলবেন। কিন্তু তিনিও দেশে ফিরে নিজেকে আড়াল করে রাখেন। অবশেষে সম্প্রতি তাদের অভিনীত ‘ নি:স্বার্থ ভলোবাসা’ ছবির গানের অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে দুজন সাংবাদিকদের সামনে একসঙ্গে এসে তাদের সম্পর্ক জোড়া লাগানোর বিষয়টি পরিস্কার করেন।

Wednesday, March 13, 2013

ফেনী থেকে ফিরে এলেন গণজাগরণ মঞ্চের ইমরান

ফেনী থেকে ফিরে এলেন গণজাগরণ মঞ্চের ইমরান



ফেনী থেকে ফিরে এলেন গণজাগরণ মঞ্চের ইমরান
নাশকতা এড়াতে ফেনীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ফিরিয়ে দিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চের গাড়ি। বুধবার দুপুরে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

গণজাগরণ মঞ্চের এক প্রতিনিধি বাংলানিউজকে জানান, চট্টগ্রামে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র এবং ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক ডা. ইমরান এইচ সরকারকে যে কোনো জায়গায় যে কোনো অবস্থায় প্রতিহত করা বিষয়ে হেফাজতে ইসলামের ঘোষণার কারণে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, “ফেনীর প্রশাসন অনাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিহত করা ও নাশকতা এড়াতে এ ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে আন্দোলনকারীদের জানিয়েছে।”

এ বিষয়ে ফেনীর পুলিশ সুপার পরিতোষ ঘোষ বাংলানিউজকে বলেন, “ডা. ইমরান এইচ সরকার ও তার সঙ্গীরা আমার সঙ্গে মতবিনিময় করে চলে গেছেন। কি কারণে তারা ফিরে গেছে আমি তা জানি না। আমরা তাদের ফিরিয়ে দেইনি।”
 
অন্য একটি সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের আলেম ওলামা একরামদের সঙ্গে বৈঠকের আশা ত্যাগ করেনি গণজাগরণ মঞ্চ।

এ লক্ষ্যে বুধবার রাতের ফ্লাইটে চট্টগ্রাম যাওয়ার কথা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগসহ অন্য নেতাদের।

এদিকে বিকেলে গণজারণ মঞ্চের মিডিয়া সেল থেকে ব্লগার প্রিতম বাংলানিউজকে বলেন, “গণজাগরণ চত্বরের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি দল আলোচনার জন্য চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছিলেন। চট্টগ্রামে আলেম একরামদের কাছে গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে আলোচনার কথা ছিল তাদের। কিন্তু ফেনী পর্যন্ত পৌঁছানোর পর সেখান থেকে ফেনীর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গাড়িটি ফিরিয়ে দিয়েছে।”

রাস্তায় সন্তান প্রসব : মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র ডাক্তার নেই, বিক্ষুব্ধ জনতার ভাঙচুর

রাস্তায় সন্তান প্রসব : মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র ডাক্তার নেই, বিক্ষুব্ধ জনতার ভাঙচুরসন্তানসম্ভবা এক গৃহবধূ গত মঙ্গলবার নোয়াখালী জেলা শহরের মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রে তাঁর সন্তান প্রসবের জন্য ভর্তি হতে আসেন। চিকিৎসক না থাকায় কর্তব্যরত নার্স তাঁকে ভর্তি না করে ফিরিয়ে দেন। এ সময় হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসার পর পরই তাঁর প্রসব ব্যথা শুরু হয়। এতে তিনি বাঁধ্য হয়ে রাস্তায় বসে পড়েন। সেখানেই সন্তান প্রসব হয় তাঁর। প্রশ্ন হলো, মা ও শিশু সেবার জন্য যে কেন্দ্র তৈরি করা হলো, সেখানে প্রসূতি কী সেবা পেলেন? জানা যায়, জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র  ল'ইয়ার্স কলোনিতে ১০ শয্যার এই মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রটি ১০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে সন্তান প্রসব ও শিশুদের চিকিৎসার জন্য অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি থাকলেও প্রয়োজনীয় ডাক্তার ও নার্স না থাকায় প্রায়ই মা ও শিশুরা এসে ফিরে যায়। কেন্দ্রটিতে দুজন চিকিৎসক, চারজন নার্সসহ ১৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ রয়েছে। এ পদগুলোর বিপরীতে একজন নার্স দিয়ে হাসপাতালটি পরিচালিত হচ্ছে।

ফলে এখানে কোনো মা ও প্রসূতি সেবা নিতে পারেন না। ল'ইয়ার্স কলোনির বাসিন্দা মাঈন উদ্দিন আহমেদ ফরহাদ জানান, গতকাল সকাল ৮টায় জেলা শহরতলির পূর্ব অশ্বদিয়া গ্রাম থেকে দিনমজুর মো. ফারুকের স্ত্রী শেফালী বেগম প্রসববেদনা নিয়ে মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রে আসেন। সকাল ১০টায় সেখানে নার্স রোকেয়া সুলতানা উপস্থিত ছিলেন। প্রসূতিকে দেখে তিনি 'এখানে কোনো চিকিৎসা হবে না' বলে অন্যত্র চলে যেতে বলেন। এ সময় ওই প্রসূতি হাসপাতালের বাথরুম ব্যবহার করতে চাইলেও নার্স রোকেয়া তা ব্যবহার করতে দেননি। ওই প্রসূতি মা ও শিশুকল্যাণ থেকে বেরিয়ে ১০০ গজ দূরে আসার পর পরই তাঁর প্রসববেদনা শুরু হয়। এ সময় তিনি রাস্ত য় শুয়ে পড়েন। রাস্তাতেই তাঁর একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। পরে লোকজন স্থানীয় রফিক ডাক্তারের বাসায় নিয়ে প্রসূতি ও নবজাতককে সেবা দেয়। বর্তমানে প্রসূতি ও নবজাতক দুজনই সুস্থ আছে। এলাকাবাসী দ্রুত এখানে চিকিৎসক ও নতুন নার্স নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

এ বিষয়ে নার্স রোকেয়া সুলতানা জানান, হাসপাতালে চিকিৎসক না থাকায় তিনি শেফালীকে অন্যত্র যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে বাথরুম ব্যবহার না করতে দেয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। মা ও শিশুকল্যাণ হাসপাতালের দায়িত্বরত নোয়াখালী পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক আমির হোসেন জানান, এক মাস ধরে এখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার নাসরিন সুলতানা ছুটিতে গিয়ে আর ফিরে আসেননি। এ ছাড়া কর্তব্যরত নার্স প্রসূতির সঙ্গে এমন আচরণ করেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে তিনি জানান। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে , বুধবার বিক্ষুব্ধ জনতা উত্তেজিত হয়ে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এসময় তারা কেন্দ্রটির বিভিন্ন রুমের জানালার গ�াস ও দরজা ভাঙচুর করে। এ প্রতিবেদক ভাঙচুর চলাকালীন  সরজমিনে  গিয়ে দেখতে পান, কেন্দ্রটির সকল কক্ষ তালা বন্ধ। দুতলায় অবস্থিত কল্যাণ কেন্দ্রটির কলাপসিবেল গেইটে তালা মারা। সেখানে আবু সুফিয়ান রকি নামে একজন ফার্মাসিষ্ট ও রোকেয়া নামে একজন ভিজিটর ভাঙচুরের সময় বেরিয়ে আসেন। তারা তাদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন। তারা বলেন , দীর্ঘদিন থেকে এখানে ডাক্তার নেই। ডাঃ তোফাজ্জল হোসেন চার্জে থাকলেও তাকে পাওয়া যায়নি। উত্তেজিত জনতা এ সময় ক্ষোভের সাথে জানান এখানে দীর্ঘদিন থেকে ডাক্তার ও নার্স নেই। একটি সরকারি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের এ বেহাল অবস্থা আর কোন জেলাতে আছে কিনা  তা আমাদের জানা নেই। লাখ লাখ টাকার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম থাকলেও কোন সেবা নেই। তাহলে এই কেন্দ্রটি থেকে গরিব মানুষের লাভ কি? জনগণের টাকায় ডাক্তার ও নার্সেরা বসে বসে বেতন তুলছেন।

আবারও খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল

আবারও খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল



আবারও খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল

‘অপপ্রচার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দেশের বাদ পড়া শিশুদের আবারও ভিাটমিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আর এর পাশপাশি খাওয়ানো হবে কৃশিনাশক ওষুধ এলবেনডাজল। তবে এ ওষুধ খাওয়াতে হবে ভরা পেটে। খালি পেটে খাওয়ালে সমস্যা দেখা দিতে পারে।’

ভিটামিন এ প্লাস ক্যপসুল ক্যাম্পেইন চলাকালে শিশু মৃতুর গুজবের পর বুধবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা: ক্যাপ্টেন (অব) মজিবুর রহমান ফকির এবং মঙ্গলবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ.ফ.ম রুহুল হক এসব তথ্য দেন।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ.ফ.ম রুহুল হকও এমনটি বলেছিলেন।

মঙ্গলবার ক্যাম্পেইন শুরুর পর থেকেই দেশজুড়ে চলে অপপ্রচার। লাখ লাখ শিশু ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল থাওয়া থেকে বিরত থাকে। শিশুর পিতা-মাতারা আতঙ্কিত হলে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। অপরদিকে খালি পেটে এলবেনডাজল খাওয়ানোর কারণে অনেক শিশু সামান্য অসুস্থ হয়ে পড়লে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আতঙ্ক চরমে রূপ নেয়।

এ পরিস্থিতি বিবেচনা করে বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আবার ভিটামিন ‘এ’ ক্যপসুল খাওয়ানো হবে।

মঙ্গলবার ছিল “জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন”। ওইদিন ছয় মাস থেকে ৫ বছর বয়সী দেশের সব শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা ছিল।

ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর পাশপাশি দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সী দেশের সব শিশুকে কৃমি নাশক বড়ি এলবেনডাজল খাওয়ানোরও কথা ছিল।

প্রায় দুই কোটি ১০ লাখের অধিক শিশুকে এ কায়ক্রমের আওতায় ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো কথা থাকলেও লাখ লাখ শিশু বাদ পড়ে। আর এক কোটি ৬৭ লাখের অধিক শিশুকে কৃমি নাশক বড়িও খাওয়ানোর কথা থাকলেও তারাও বাদ পড়ে।

Monday, March 11, 2013

৪৮ রানে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা

৪৮ রানে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা


৪৮ রানে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা
অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের ইতিহাস গড়া ইনিংসের পাশাপাশি মোহাম্মদ আশরাফুলের দুর্দান্ত টেস্ট প্রত্যাবর্তনে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ দলীয় টেস্ট স্কোর গড়ে। গলেতে শ্রীলঙ্কার ৫৭০ রানের জবাবে চতুর্থ দিন দ্বিতীয় সেশনে ৬৩৮ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ৬৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে নামে স্বাগতিকরা। দিন শেষে নয় উইকেট হাতে রেখে ৪৮ রানের লিড নিয়েছে শ্রীলঙ্কা।

শ্রীলঙ্কা: প্রথম ইনিংস- ৫৭০/৪ ডিক্লে., দ্বিতীয় ইনিংস- ১১৬/১ (৩০ ওভার)
বাংলাদেশ: ৬৩৮/১০

দলীয় ১৭ রানে দিমুথ করুনারত্নেকে (৩) ফাইন লেগে আবুল হাসানের ক্যাচ বানান শাহাদাত হোসেন। তবে উইকেটে জেঁকে বসেন তিলকরত্নে দিলশান ও কুমার সাঙ্গাকারা। টানা দ্বিতীয় ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করেন দিলশান, ৬৩ রানে অপরাজিত তিনি। অর্ধশতক থেকে এক রান দূরে থেকে পঞ্চমদিনের খেলা শুরু করবেন সাঙ্গাকারা (৪৯)।  

এর আগে একের পর এক রেকর্ড গড়ার ম্যাচে ব্যাট হাতে দারুণ জবাব দেন মুশফিক, আশরাফুল ও নাসির হোসেন। পাঁচদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। গত বছরের ১৩ নভেম্বরে ঢাকায় ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ৫৫৬ রানে গুটিয়ে যায় তারা।

আশরাফুল ১৯০ রানে সাজঘরে ফিরেন চতুর্থ দিন শুরুতেই। এর আগে ২৬৭ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন অধিনায়ক মুশফিকের সঙ্গে। আশরাফুলের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভেঙে ইতিহাস গড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৩২০ বলে ২২ চার ও এক ছয়ে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম দ্বিশতকের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন মুশফিক। পরের বলে সাজঘরে ফিরলেও সোহাগ গাজী ও নাসিরের ব্যাটে বাংলাদেশ লিড নেয়।

সোহাগ ২১ রানে সাজঘরে ফিরলে আবুল হাসানকে নিয়ে দলীয় ৬০০ রানে পৌঁছান নাসির। মুশফিক ও আশরাফুলের রেকর্ড গড়ার ম্যাচে অভিষেক সেঞ্চুরির দেখা পান নাসির। এটি তাঁর সপ্তম টেস্ট ম্যাচ, ১৪৭ বলে নয় চারে শতক পূর্ণ করেন ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান। আরো চার বল খেলতেই দিলশানের বলে মিডউইকেটে সাঙ্গাকারার তালুবন্দি হন নাসির (১০০)।

ইলিয়াস সানি চার বল খেলে রানের খাতা না খুলতেই সাজঘরে ফিরেন। আবুল হাসান ১৬ রানে অপরাজিত ‍থাকেন। শাহাদাত হোসেন ১৩ রানে শেষ উইকেট হিসেবে সাজঘরে ফিরেন।

কুলাসেকেরা, এরাঙ্গা, হেরাথ, দিলশান ও মেন্ডিস সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট দখল করেন।

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে দ্বিশতক মুশফিকের

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে দ্বিশতক মুশফিকের



প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে দ্বিশতক মুশফিকের
ধারাভাষ্যকার আতহার আলি খান মুশফিকুর রহিমের গুণমুগ্ধ প্রশংসা করছিলেন। বলছিলেন, খুবই মেধাবি ক্রিকেটার বাংলাদেশ অধিনায়ক। রোববার যেভাবে শেষ করেছেন সোমবার একই ছন্দে খেলে গিয়েছেন। আতহার আলি খান যে একবিন্দু বাড়িয়ে বলেননি তার প্রমাণ গলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে চোখ রাখলেই দেখতে পাবেন।

আশরাফুল যা পারেননি সেটা করে দেখালেন মুশফিক। প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে পেলেন দ্বিশতক। পঞ্চম উইকেটে মোহাম্মদ আশরাফুল ও মুশফিকের রেকর্ড ২৬৭ রানের জুটি হয়। আশরাফুল ১৯০ রানে সাঝঘরে ফিরলে নাসির হোসেন এসে জুটি বাঁধেন অধিনায়কের সঙ্গে।

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে অবিচ্ছিন্ন ছিল আশরাফুল-মুশফিক জুটি। আশলাফুল ১৮৯ আর মুশফিক ১৫২ রানে অপরাজিত থেকে চতুর্থদিন সকালে ব্যাট করতে আসেন। এক রান যোগ করে ইনিংসে যতি টানেন আশরাফুল। মুশফিক চালকের আসনে থেকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে। নাসিরের সঙ্গে ১০৬ রানের আরেকটি শক্ত জুটি গড়েন তিনি। ৩২০ বলে ২২ চার ও এক ছয়ে ইতিহাস গড়ে মুশফিক পরের বলে বিদায় কুলাসেকেরার এলবিডব্লিউ শিকার হন। ৩১তম টেস্ট খেলছেন মুশফিক।

এর আগে একটি মাত্র সেঞ্চুরি ছিল তাঁর। ২০১০ সালে চট্টগ্রামে ভারতের বিপক্ষে ১০১ রানের ইনিংস খেলেছেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় সেঞ্চুরিকে দ্বিশতকে পরিণত করলেন মুশফিক।

পারলেন না, তবে রেকর্ড গড়লেন আশরাফুল

পারলেন না, তবে রেকর্ড গড়লেন আশরাফুল



পারলেন না, তবে রেকর্ড গড়লেন আশরাফুল
উপেক্ষার দারুণ জবাব দিয়েও শেষ পর্যন্ত পারলেন না আশরাফুল। তবে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ড এখন তার। টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করার দোরগোড়ায় এসে ১৯০ রানে আউট হলেন তিনি।
নির্বাচকদের উপেক্ষার জবাবটি ভালোভাবেই দিলেন আশরাফুল।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক প্রথমে শ্রীলংকা সফরের দলে সুযোগই পান নি। শাহরিয়ার নাফিসের ইনজুরিতে দলে সুযোগ পান। আর শেষ মুহূর্তে পাওয়া সুযোগটির সদ্ব্যবহার করতে কোনোরকম সময় নিলেন না আশরাফুল। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের মালিকানা দিয়ে নতুন উচ্চতায় তুলেছেন নিজেকে।

রেকর্ড গড়েছেন অধিনায়ক মুশফিকুর  রহিমও। তিনি এখনো অপরাজিত রয়েছেন ১৮৮ রানে।

শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনে এসে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়িয়েছে ৫ উইকেটে ১৫৯ ওভার খেলে ৫২৭ রান। হাতে রয়েছে ৫ উইকেট।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বরাবরই ভালো ব্যাট করেন আশরাফুল। কলম্বোতে অভিষেক টেস্টেই শতক হাঁকিয়েছিলেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান হয়ে নাম লেখান ইতিহাসে।তাঁর ছয়টি শতকের পাঁচটিই এসেছে লঙ্কান বোলিংয়ের বিপক্ষে। সর্বশেষ শতকটিও ছিল শ্রীলঙ্কারই বিপক্ষে। ২০০৮ সালে ৩১ ডিসেম্বর মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে লঙ্কানদের বিপক্ষে ১০১ রানের ইনিংস হাঁকিয়েছিলেন আশরাফুল।

দীর্ঘ চার বছরেরও বেশি সময় পর রোববার গল টেস্টের তৃতীয় দিন টেস্ট শতকের দেখা পান আশরাফুল। তাঁর ষষ্ঠ শতকের সুবাদেই লড়াইয়ে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। অভিষেক ব্যাটসম্যান আনামুলকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১০৫ রানের পর পঞ্চম উইকেটের বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছেন দ্বিতীয় টেস্ট শতক হাঁকানো মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে। তাদের অপরাজিত ২৬৭ রানের জুটির সুবাদেই ইনিংস হার এড়িয়ে ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছে সফরকারীরা।

‘দাবি আদায়ের উৎকৃষ্ট উদাহরণ শাহবাগ আন্দোলন’

‘দাবি আদায়ের উৎকৃষ্ট উদাহরণ শাহবাগ আন্দোলন’



‘দাবি আদায়ের উৎকৃষ্ট উদাহরণ শাহবাগ আন্দোলন’
শান্তিপূর্ণ উপায়ে দাবি আদায়ের উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে শাহবাগের গণজাগরণ আন্দোলন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা।

তিনি বলেন, “মত প্রকাশের জন্য সহিংসতা কোনো সমাধান নয়।”

সোমবার সকাল ১১টায় বারিধারার আমেরিকান সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত শাহবাগের গণজাগরণ আন্দোলনকে দাবি আদায়ের উৎকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, “শান্তিপূর্ণভাবে মানুষ কীভাবে তাদের দাবি জানাতে পারেন, তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে শাহবাগের গণজাগরণ আন্দোলন।”

তিনি এসময় জামায়াতের সহিংসতার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, “মতপ্রকাশের জন্য সহিংসতা কোনো সমাধান নয়। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে সহিংসতায় যে প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ যে আক্রান্ত হয়েছেন, তাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন!”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড্যান ডব্লিউ মজীনা বলেন, “জামায়াত একটি নিবন্ধিত দল। আমি যতটুকু জানি, সংসদে তাদের সদস্য রয়েছে।”

জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে তার মন্তব্য কী জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “বাইরের লোক হিসেবে আমি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারি না। এটি বাংলাদেশের সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ বিষয়।”

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে ফেরার পর মাকিন রাষ্ট্রদূতের এটাই কোনো প্রথম আনুষ্ঠানিক মন্তব্য।

রাষ্ট্রপতির শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত

রাষ্ট্রপতির শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত


রাষ্ট্রপতির শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সেখানে তার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিতই রয়েছে। তার কিছুটা শ্বাসকষ্ট হওয়ায় অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে। তবে তিনি স্বাভাবিকভাবেই কথা বলছেন এবং সম্পূর্ণ সচেতন রয়েছেন।

একথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতির ছেলে নাজমুল হাসান পাপন, এমপি। তিনি বর্তমানে তার বাবার সঙ্গে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে অবস্থান করছেন।

বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে টেলিফোনে নাজমুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, ঢাকায় সিএমএইচ-এ রাষ্ট্রপতির শারীরিক অবস্থা যেমন ছিলো এখনো ঠিক তেমনটাই রয়েছে। কোনো উন্নতি বা অবনতি হয়নি।

তিনি জানান, চিকিৎসকরা তার কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠিয়েছেন। সেগুলোর ফলাফল হাতে এলে তার সমন্বিত চিকিৎসা শুরু করবেন।

ফুসফুসে মারাত্মক জীবাণু সংক্রমণ ধরা পড়ায় রাষ্ট্রপতিকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়্। রাষ্ট্রপতিপুত্র নাজমুল আহসান জানান, সংক্রমণটির (ইনফেকশন) ধরন বোঝার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

রাষ্ট্রপতির চিকিৎসার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে আরও ৫ ঘণ্টা সময় নিয়েছেন চিকিৎসকরা।  

এর আগে রোববার রাত ১১টা ১০ মিনিটে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয় রাষ্ট্রপতিকে।

ককটেল বিস্ফোরণে ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশ পণ্ড, ব্যাপক ভাঙচুর

অ-  অ+
  বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের বিক্ষোভ সমাবেশে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
বিকেলে ৫টার দিকে পর পর ১১টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। এ সময় ১৮ দলের নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
বিকেল ৩টা ৮ মিনিটে সমাবেশ শুরু হয়। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে জড়ো হয় নেতাকর্মীরা। বিকেলে ৫টার দিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য শুরু হয়। এ সময় সমাবেশস্থলে পর পর ১১টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে পণ্ড হয়ে যায় সমাবেশে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। এ সময় নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষে করে। এ মুহূর্তে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ফকিরাপুর, দৈনিক বাংলার মোড় ও নয়াপল্টনে গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করে। ভাঙচুরে জামায়াত-শিবির কর্মীরা সক্রিয় রয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার সকাল-সন্ধ্যা ১৮ দলের হরতাল

অ-  অ+

এসময় সমাবেশে বক্তব্য রাখছিলেন বিএনপিরা ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর পরই তিনি মাইকে হরতাল কর্মর্সূচির ঘোষণা দেন।
এর আগে বিকেল ৩টা ৮ মিনিটে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়। গণগত্যা, হামলা, মামলা, নির্যাতনে সারাদেশে সহিংসতায় শতাধিক মানুষ নিহত ও নির্যাতিত হওয়া এবং র‌্যাব-পুলিশ ও সরকারি দলের হামলার অভিযোগে এ সমাবেশের ডাক দেয় ১৮ দলীয় জোট।

‘শহীদী মরণে’র নামে শিশুদের ‘আত্মঘাতি’ করার জামায়াতি মিশন

‘শহীদী মরণে’র নামে শিশুদের ‘আত্মঘাতি’ করার জামায়াতি মিশন


‘শহীদী মরণে’র নামে শিশুদের ‘আত্মঘাতি’ করার জামায়াতি মিশন
জামায়াত নিষিদ্ধ হলে জামায়াত কি হারিয়ে যাবে? এই দলের ইতিহাস তা বলে না। আদালতের নির্দেশেই হোক, অথবা সরকারের নির্বাহী আদেশ; জামায়াত নিষিদ্ধ হলে সম্ভাব্য কয়েকটি বিকল্প:

১.    সংবিধান অনুযায়ী দেশে ধর্মীয় রাজনীতি যেহেতু নিষিদ্ধ না, তাই অন্য নামে নতুন দল গঠন করতে পারে জামায়াত।
২.    গোপন দল হিসেবে জামায়াত থেকে যেতে পারে, প্রকাশ্যে তারা যোগ দিতে পারে বিএনপিতে; যেমনটি কমিউনিস্টরা পাকিস্তান আমলে ন্যাপের মাধ্যমে করেছেন।
৩.    জামায়াত পুরোপুরি গোপন দল হিসেবে কার্যক্রম চালাতে পারে, সেক্ষেত্রে তারা এমন নাশকতার পথ বেছে নিতে পারে যাতে সরকার শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে তাদেরকে আবারও জামায়াত নামে রাজনীতি করার সুযোগ দেয়।

কি হলে কি হবে, কি হলে কি হতে পারেÑÑ এরকম আলোচনার সুযোগ অবশ্য এখন কম; কারণ জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হওয়া না হওয়ার বিষয়টি পুরোপুরিই আদালতের এখতিয়ার চলে গেছে, এরইমধ্যে তার শুনানি শুরু হয়ে মুলতবি হয়েছে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত। শুনানি যেহেতু শুরু হয়ে গেছে তাই আগে এর মীমাংসা না হলে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার বিষয়টি সরকার বিবেচনায় নিতে পারছে না। যদি আদালত শেষ পর্যন্ত জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে, তারপরও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সরকার নিশ্চয়ই একদিকে রাষ্ট্রীয় স্বার্থ এবং কিছুটা হলেও তার রাজনৈতিক স্বার্থ বিবেচনায় নেবে। সেই সিদ্ধান্ত জানার আগে তাই অপেক্ষা কিছুটা করতেই হচ্ছে।

নিষিদ্ধ হলে জামায়াত কি করবে, কি করবে না সেই পূর্বাভাস অবশ্য এরইমধ্যে পাওয়া গেছে। নিষিদ্ধ না হলেও একাত্তরে তাদের ভূমিকার কারণে জনপ্রতিরোধের মুখোমুখি হলে প্রকাশ্য এবং নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দল হওয়ার পরও জামায়াত কি করতে পারে সাঈদীর রায়ের পর তাও প্রমাণ হয়েছে।

আরও কিছু ঘটনার সঙ্গে অনেকে প্রমাণ হিসেবে জয়পুরহাটের ঘটনা উল্লেখ করছেন, যেখানে সাঈদীর রায়ের পর সহিংস বিক্ষোভে পাঁচবিবি উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের জামায়াতের সেক্রেটারি মোহাম্মদ ফোরকান নিহত হন। প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী এলাকার এক ছাত্র ফোরকানের সঙ্গে মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি জানান, সেদিন মিছিল শান্তিপূর্ণ হবে বলেই দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিলো। কিন্তু পাঁচবিবি থানার পাশে গিয়ে কিছু লোক থানা আক্রমণ করে বসে। ওই ছাত্রের ভাষ্যমতে, ফোরকান আক্রমণকারীদের বাধা দেন। সেসময় একটি গুলি তার পায়ে লাগে। এরপর আরও দুটি গুলি লাগে ফোরকানের বুকে এবং পেটে।

এই ঘটনায় অনেকে বলছেন, পুলিশ যখন উত্তেজিত জনতার মধ্যে গুলি করতে বাধ্য হয় তখন সেই গুলির সুনির্দিষ্ট টার্গেট থাকে না। তাই একজনের পায়ে গুলি লাগার পর আবারও বুকে এবং পেটে গুলি লাগার সম্ভাবনা শূণ্য। আর টার্গেট করেই যদি পুলিশ গুলি করবে তাহলে পুলিশ কেনো সেই লোকটিকেই গুলি করবে যে থানার ওপর হামলায় বাধা দিচ্ছে?

তাই পুলিশের বদলে বরং অভিযোগের আঙুল ওঠছে জামায়াতের দিকেই। যারা এরকম অভিযোগ করছেন তারা বলছেন, ওই মিছিলে জামায়াত নিশ্চয়ই সশস্ত্র ছিলো, লাশ ফেলে দেওয়ার নির্দেশনা ছিলো তাদের ওপর। তাই তারা তাদের মধ্যে তাকেই বেছে নিয়েছে যে থানায় আক্রমণের বিপক্ষে ছিলো। এতে একদিকে যেমন থানায় আক্রমণের বাধা দূর হয়েছে, তেমনই তাদের লাশের সংখ্যাও বাড়ানো গেছে।

যতোই দিন যাচ্ছে ততোই স্পষ্ট হচ্ছে সাঈদীর রায়ের প্রতিক্রিয়ায় লাশের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য মরিয়া ছিলো জামায়াত-শিবির। নেতা-কর্মীদের মৃত্যুর জন্য তৈরি করেই মিছিলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। সেই মৃত্যু পুলিশের গুলিতেই হোক, কিংবা নিজ থেকে; জামায়াতের লক্ষ্য ছিলো একটাইÑÑ যতো বেশি সংখ্যক লাশ।

প্রথম আলোর আরও একটি রিপোর্টে তা স্পষ্ট হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী রাজশাহীর গোদাগাড়িতে ৩ মার্চের সংঘর্ষে নিহত হয় ১৫ বছর বয়সী রফিকুল ইসলাম। স্থানীয় আয়েশা সাবের দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্র ছিলো রফিক। সংঘর্ষের দিন অন্য অনেক মাদ্রাসার মতো আয়েশা সাবের দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রদেরও আগেই ছুটি দেওয়া হয়।

রফিকুল ইসলামের বাবা গোলাম মোস্তফা এবং মা সতুরা খাতুন বলেছেন, ‘ছেলে যাওয়ার সময়ই বলে গেছে সে শহীদ হতে যাচ্ছে। ছেলের মৃত্যুতে আমাদের কোনো কষ্ট নেই। তার মাধ্যমে আমরা বেহেশতে যাবো।’

ওই মাদ্রাসার শিক্ষক রফিকুল ইসলামের বোনের জামাই আব্দুর রাজ্জাক। তিনিও জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি বলেন, তার শ্যালকের শহীদী মরণ হয়েছে। তাই তাকে গোসল ছাড়াই দাফন করা হয়েছে। তারা কোনো মামলা-মোকদ্দমাও করবেন না।

এভাবে উস্কানি দিয়ে ‘শহীদী মরণে’র লোভ দেখিয়ে মাদ্রাসার শিশু-কিশোরদের সাঈদীকে বাঁচানোর মিছিলে নিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। হয় তাদের উস্কানি দিয়ে এমন অবস্থা সৃষ্টি করা হয়েছে যাতে পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়, কয়েকজনের মৃত্যু হয়; অথবা পুলিশের গুলিতে কেউ মারা না গেলে ভেতর থেকে গুলি করে কয়েকজনকে মেরে ফেলা যায়।

শুধু জয়পুরহাট কিংবা রাজশাহী নয়, জেলায় জেলায় জামায়াত মাদ্রাসার কোমলমতি গরিব শিশুদের বিভ্রান্ত করে মিছিলে নামিয়েছে, ‘শহীদী মরণে’র কথা বলে পুলিশের সঙ্গে যুদ্ধ অবস্থায় নিয়ে গেছে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের অভিজ্ঞতা বলে, মাদ্রাসার শিশু এবং নারীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহারের কারণে পুলিশ প্রথমে কোনো অ্যাকশনে যেতে পারেনি। এর ফল তারা পেয়েছে পুলিশ সদস্যদের নিহত হওয়ার মতো ঘটনা দিয়ে।

ঘটনার কয়েকদিন পর সবকিছু যখন ঠা-া মাথায় বিচার-বিশ্লেষণ করা হচ্ছে, তখন স্পষ্ট হচ্ছে অবুঝ শিশু-কিশোরদের ধর্মের নামে আত্মঘাতি করে ফেলেছে জামায়াত। আফসোসের বিষয়, রফিকের মতো মাদ্রাসার ছাত্ররা ভেবেছে ইসলামের জন্য শহীদ হওয়ার মিছিলে নেমেছে তারা। কিন্তু আসলে এটা ছিলো জামায়াতকে বাঁচানোর মিছিল, যে জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে হত্যা-গণহত্যা-ধর্ষণ-অগ্নিসংযোগ-লুটপাটের অভিযোগ প্রমাণিত। শিশুরা মিছিলে নেমে জীবন পর্যন্ত দিয়েছে, কিন্তু তারা ইসলামের নামে জামায়াতের ইসলাম এবং নেতাদের আসল রূপের কিছুই জানে না।

ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন মঙ্গলবার

ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন মঙ্গলবার



ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন মঙ্গলবার
মঙ্গলবার জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন। এদিন ছয় মাস থেকে ৫ বছর বয়সী দেশের সব শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক।
মন্ত্রী জানান, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর পাশাপাশি এদিন ২ থেকে পাঁচ বছর বয়সী দেশের সব শিশুকে কৃমিনাশক বড়ি এলবেনডাজল খাওয়ানো হবে।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, প্রায় ২ কোটি ১০ লাখের অধিক শিশুকে এ কার্যক্রমের আওতায় ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আর এক কোটি ৬৭ লাখের অধিক শিশুকে কৃমিনাশক বড়ি খাওয়ানো হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “ক্যাম্পেইনের দিন কোনো শিশুকে খালি পেটে না আনার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।”
মন্ত্রী বলেন, “ভিটামিন এ ক্যাপসুল এবং কৃমিনাশক বড়ি খাওয়ানোর পাশাপাশি ‘জন্মের পর পূর্ণ ছয়মাস শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য সবাইকে বলুন’ এ বার্তাটি পৌঁছে দেওয়া হবে।”
আ.ফ.ম রুহুল হক বলেন, “দেশব্যাপী ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী কেন্দ্রসহ অতিরিক্ত ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে এ ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে। বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট, ব্রিজের টোল আদায় কেন্দ্র, বিমানবন্দর রেলস্টেশন, খেয়াঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রগুলো অবস্থান করবে।”
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “ভিটামিন ‘এ’ ক্যপসুল খাওয়ানোর কারণে রাতকানা রোগ কমে এসেছে। ১৯৮২ সালে বছরে ৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ রাতকানা রোগে আক্রান্ত হতো। সেখানে বর্তমানে এই হার নেমে এসেছে শুন্য দশমিক ০৪ শতাংশে।